আমলাকাহিনি । ফারুক নওয়াজ
কেউ তাঁতি, কেউ জেলে, কেউ শিক্ষক.
কারো আছে মুদিখানা, কেউবা কৃষক..
কেউ বেচে পানবিড়ি, কেউ নাও বায়..
সরকারি কাম করে কেউবা ঢাকায়–
ইহাদেরই পোলা-মেয়ে, ভাই-বেরাদার..
ইহাদের পোলা-মেয়ে নাকি কেউ আর!
আমলা তো ইহারাই– এদেশের লোক–
তবে কেন পদে বসে লাল করে চোখ?
মনে হয় এরা ছাড়া বাকিরা ছাগল..
ক্ষমতার বুজরুকি দেখাতে পাগল!
জনগণ অসহায়, তাদের ঠেলায়–
তাহাদের ইশারায় ট্রেন থেমে যায়।
ঘাটে থাকে ফেরী থেমে– কার তাতে কী..
তাদের তুলনা চলে কারো সাথে কী?
ফেরী থাকে আমলার আসার আশায়..
ফেরীতেই মুমূর্ষু রোগী মরে যায়।
আহারে স্বাধীন জাতি, স্বাধীন স্বদেশ..
কতিপয়ে অসহায় গোটা জাতি শেষ।
কেউ মোটা, কেউ থিন, বেঁটে-লম্বু..
কেউ গনি, কেউ মতি, কেউ শম্ভু।
নাম-টাম যাই হোক– প্রব্লেম নেই–
প্রব্লেম দেখা দেয় আমলা হলেই।
চাকরিতে ঢুকে হয় খুদে আমলা..
ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে দুঁদে আমলা।
ছোটোমটো, সেজ-মেজ, বড় আমলা..
ইহাদের দম্ভতে ঠেলা সামলা!
মানুষ মরিলে ডুবে কারো সাড়া নেই..
সাড়া পড়ে আমলার ফোন হারালেই।
ছুটে আসে বাঘা-বাঘা ডুবুরির দল..
মোবাইল খুঁজে পেতে ঘোলা করে জল.।
এরকম জল ঘোলা হয় দিন-রাত..
আমলার লাথি খেয়ে মাছওলা কাত।
মাথামোটা– উদ্ভট, উদ্ভ্রান্তা…
আচরণে শমসের– সবজান্তা!!
সকলেই নয়– এরা কতিপয় চীজ..
মনে হয় দেশটাকে নিয়ে গেছে লীজ।
এদেশেরই লোক এরা, কিন্তু অবাক–
ইহাদের কাম দেখে লেগে যায় তাক!
২৯.০৭.২০১৯