পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আজ (বৃহস্পতিবার) হাজ্বীপাড়া ইকরা ঝিল মসজিদে মাসিক শবগুজারীর ইসলাহী বয়ানে ‘নিজের মর্জিকে আল্লাহর মর্জি অনুযায়ী বানিয়ে নিতে হবে বলে নসিহত করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে আলাদা করতে পারি না । দুটিকে এক জিনিস মনে করি। বস্তুত দুটি এক নয়। একজন তীরন্দাজের লক্ষ্য হলো তার তীরটিকে নিশানায় পৌঁছানো, কিন্তু তার উদ্দ্যেশ্য হলো একজন দক্ষ তীরন্দাজ হওয়া। তেমনি আমাদের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা আর আমাদের লক্ষ্য হলো কাজ করে যাওয়া। দুনিয়ার সকল ঘরে যেন আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, কোনো ঘর যেন বাদ না থাকে সেই মেহনত করা।
আমাদের কর্মসূচি হলো প্রতিদিন নিজ পরিবারের মাঝে আল্লাহর যিকির চালু করা, যে ঘরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার যিকির জারি থাকে ওই ঘরের সমস্ত বালা-মুসিবত আল্লাহ দূর করে দেন। এই কাজকে সর্বদা জারী রাখা জরুরী।
যখন হযরত মুসা আ. তার ভাই হারুন আ. এর জন্য নবুওয়তের দোয়া করেন তখন তিনি বলেন, ‘ আমরা যেনো বেশী বেশী আপনার নাম যপতে পারি’ ‘কাই নুসাব্বিহাকা কাসিরান’। বুঝা গেলো দাওয়াত আর তালীমই যথেষ্ট নয়, আল্লাহর জিকিরও জরুরী।
জিকিরের শক্তিমত্বা বুঝাতে সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.)-এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ আরও বলেন, আল্লাহর নামের এতো পাওয়ার যে, যতদিন পর্যন্ত দুনিয়াতে একজনও ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলনেওয়ালা থাকবে ততদিন পর্যন্ত আসমান যমিন ঠিক থাকবে।
সবশেষে সালেকীনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, সপ্তাহে একদিন মহল্লায়, মাসে একদিন শবগুজারীতে, এবং বার্ষিক ৩ দিন বেলঙ্কা ইজতিমায় শরীক হয়ে আমলের উপর পাবন্দী করতে হবে। এবং নিজের ইসলাহের জন্য আল্লাহওয়ালাদের সহবত গ্রহণে নিজেকে জুড়ে রাখতে হবে।
আমাদের আমলের জিন্দেগী বানাতে হবে, ওয়াজের জিন্দেগী নয়।