সারওয়ার আলম ভূঈয়া :: বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা.বা.-এর শোক প্রস্তাব নিয়ে, কুমিল্লা জেলা শাখার আহবায়ক হিসাবে আমি (মাও.সারোয়ার আলম ভুইয়া) সাথী সঙ্গী নিয়ে একটি গাড়িযোগে বাংলাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম, আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)-এর সিনিয়র সহসভাপতি ও জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীর নামাজে জানাজায় অংশ নিতে মরহুমের গ্রামের বাড়ী গেলাম।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মরহুমের বাড়িতে গিয়ে সলাতুল জোহর আদায় করি। হাটহাজারী মাদরাসার মহা পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা.-এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত জানাযায় অংশ গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে উপস্থিত হন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট হাফেজ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। বেফাকুল মাদারিসে দ্বীনিয়ার মুহতারাম মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী দা.বা., হাইয়্যাতুল উলইয়া মহা সচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ।
খতমে নবুয়ত আন্দোলন এর সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলামসহ দেশ বরেণ্য অসংখ্য আলিম উলামা পীর মাশায়েখ, ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবিদ, অসংখ্য মাদরাসার ছাত্র- শিক্ষক ও লক্ষাধকি ধর্মপ্রাণ মুসলিম তৌহিদী জনতা।
জানাযার আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীসহ অসংখ্য আলিম উলামাগণ মরহুমের জীবনের অনুকরণীয় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। আল্লামা আশরাফ আলী রহ.-এর দেশ ও জাতীর কল্যাণে করে যাওয়া কাজগুলো তুলে ধরে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীর ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
আল্লামা মাসঊদ তাঁর শোকবার্তায় বলেন, মানুষের জন্ম ও মৃত্যু আল্লাহর পক্ষ থেকেই নির্ধারিত। আল্লাহর ইচ্ছাতেই মানুষ তার রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান। আল্লামা আশরাফ আলী (রহ.) আমাদের সময়কার খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন ছিলেন। আমি তাঁর ছাত্রত্ব অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলাম। তিনি দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, আল্লামা আশরাফ আলী (রহ.) একদিকে আদর্শবান মানুষ গড়ার লক্ষ্যে দরস ও তাদরিসের কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন, অপরদিকে দীনের মুবাল্লিগ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী তৈরি করার জন্য কাজ করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর সাথে খায়রের ফায়সালা করুন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, পৃথিবী আসলে থাকার জায়গায় নয়। আমাদের প্রিয় নবীজী (সা.)-ও চলে গেছেন। আজ আমরা আল্লামা আশরাফ আলীকেও হারালাম। তাঁকে হারিয়ে যে ক্ষত তৈরী হয়েছে, যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সে শূন্যতা পূরণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা মাসঊদ এসব কথা বলেন। তিনি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন।