এই ইসলাহী ইজতেমার সম্পর্ক উলামায়ে দেওবন্দের সাথে : আল্লামা ওমর মক্কী

এই ইসলাহী ইজতেমার সম্পর্ক উলামায়ে দেওবন্দের সাথে : আল্লামা ওমর মক্কী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তাড়াইলের এই ইসলাহী ইজতেমার সম্পর্ক উলামায়ে দেওবন্দের সাথে বলে জানিয়েছেন পীরে কামেল শায়েখ আব্দুল হাফিজ মক্কী (রহ.) এর সুযোগ্য তনয় আল্লামা ওমর মালিক মক্কী।

তিনি বলেন, এরকম ইসলাহী ইজতেমা আয়োজনের ধারাবাহিকতা শুরু করেছিলেন দারুল উলূম দেওবন্দের উলামায়ে কেরাম। তাই এমন মকবুল ইজতেমায় হাজির হতে পেরেছি বলে আনন্দিত। আর আল্লাহ তাআলা এখানে হাজির হওয়ার তাওফিক দান করেছেন বলে আমরা তাঁর শুকরিয়া আদায় করে বলি ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) তাড়াইলের বেলংকা জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে তিন দিনব্যাপি আয়োজিত ইসলাহী ইজতেমার দ্বিতীয় দিন রাত ৯টায় ইসলাহী বায়নে এসব কথা বলেন আল্লামা ওমর মক্কী।

তাড়াইলের ইজতেমাকে ‘আকাবীর উলামায়ে কেরামের ইজতেমা’ জানিয়ে শায়েখ আব্দুল হাফিজ মক্কী (রহ.) এর সুযোগ্য তনয় বলেন, আমরা এমন একটি ইজতেমায় শরীক হয়েছি, যেটা ‘আকাবীরে উলামায়ে কেরামের ইজতেমা’। এটা কোনো সাধারণ কোনো ইজতেমা না। এখানে আমরা আল্লাহওয়ালাদের কাছ থেকে আত্মার সংশোধনের সবক নেবো এবং আমাদের জীবনে এর বাস্তব প্রয়োগ করবো।

‘তাআল্লুক মাআল্লার’ ক্ষেত্রে আকাবীরে দেওবন্দর অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দীনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আকাবীরে দেওবন্দ সবার চেয়ে এগিয়ে। তালীম, তারবিয়্যাত, তাযকিয়া ও মুজাহাদা ফী সাবীলিল্লাহ-এর ময়দানে তাদের অবস্থান সর্বার্গে। বিশেষ করে তাআল্লুক মাআল্লার ময়দানে উলামায়ে দেওবন্দের ধারে কাছেও কেউ নেই।

উলামায়ে দেওবন্দের এই অসামান্য সফলতার রহস্য উধঘাটন করতে গিয়ে তিনি বলেন, উলামায়ে দেওবন্দের যাত্রা প্রায় দুইশত বছরের মতো। কিন্তু এরই মধ্যে সারা বিশ্বে উলামায়ে দেওবন্দের জয়জয়কার চলছে। এর মূল কারণ, উলামায়ে দেওবন্দের ইখলাস। ইখলাসের ক্ষেত্রে তাদের কোনো তুলনা হয় না।

‘তাআল্লুক মাআল্লা’ কী জিনিস তা ব্যাখা করে আল্লামা ওমর মক্কী বলেন, ‘তাআল্লুক মাআল্লাহ’ কোনো নতুন কিছু নয়। প্রত্যেক আমলের সাথে পরিপূর্ণ ইখলাস থাকার নামই হলো ‘তাআল্লুক মাআল্লা’। ইখলাস ছাড়া কোনো আমল আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। ইখলাস ছাড়া কোনো আমলের প্রাণ থাকে না।

তিনি বলেন, হাদীসে পাওয়া যায়, তিনজন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে নামায পড়ে। একজনের পুরো শতভাগ সওয়াব পায়, আরেক জন চার ভাগের এক ভাগ সওয়াব পায়। আরেকজন কোনো সওয়াবই পায় না। তিনজন ব্যাক্তির নামাজ দেখতে এক রকম হলেও এই তারতম্যের কারণ হলো ইখলাস। যার ইখলাস যতটুকু সে সেই পরিমান সওয়াবই পাবে। কারণ আল্লাহ তাআলা ইখলাস অনুসারে আমলের সওয়াব প্রদান করেন।

দিলকে সাফ করতে হলে দিলের ডাক্তারের কাছে যেতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলে, যখন কেউ একটি গুনাহ করে তখন তার দিলে একটি মরিচা পড়ে। আরেকটি গুনাহ করলে আরও একটি মরিচা পড়ে। এভাবে গুনাহ করতে করতে দিলে আবর্জনা জমে ভাইরাসের জন্ম হয়। দিলের এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে দিলের ডাক্তারের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দিলের ডাক্তার অর্থাৎ আল্লাহওয়ালাদের সুহবতে থেকে আত্মাকে সংশোধন করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এর আহ্বানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপি এই ইসলাহী ইজতেমায় আল্লামা ওমর মালিক মক্কী বয়ান উর্দু থেকে ভাষান্তর করেছেন মাওলানা শোয়াইব আহমদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *