২৪শে মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তাড়াইলের জামিয়াতুল ইসলাহ আল মাদানিয়া ময়দানে তিন দিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমার প্রথম দিনই হাজার হাজার মানুষের জামায়েত। বিশাল মাঠজুড়ে তৈরি শামিয়ানার ভেতরে-বাইরে মুসল্লিদের চলাফেরা। কুয়াশা, মোটামুটি শীত, বসন্তের ঠান্ডা বাতাস। এর মাঝেই চলছে বয়ান, জিকির-আজকার, ইবাদত, খাওয়া-দাওয়া ও আনুষঙ্গিক কাজ।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ এশা ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ও বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়া বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আমাদের এই ইজতেমা আমলী ইজতেমা, ওয়াজের নয়। আমরা সবাই কমবেশি ওয়াজ জানি, কিন্তু আমলের বেলায় নাই। এজন্য আমলী জিন্দেগি গঠনের জন্য আমাদের এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
আমাদের এই ইসলাহী ইজতেমার একমাত্র উদ্দেশ্য আমরা আল্লাহকে পেতে চাই জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, যে আল্লাহকে পায়নি সে দুনিয়ার সব পেলেও মূলত কিছু পায়নি, আর আখেরিতে তো বিন্দু পরিমাণ কিছু পাবে না। কিন্তু যে আল্লাহকে পেয়েছে, সে দুনিয়াতে সব পাবে, আখেরাতেও জান্নাত পাবে।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আমলী পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই ইজতেমায় ঈমান-আমলের কথা বলা হয়, কোরআন তেলাওয়াত শিখানো হয়, নবীদের জীবনী শোনানো হয়, নফল নামাজ পড়তে উৎসাহী করা হয়। এসব কিছু মূল হলো নিজের জীবনকে আমলী জিন্দেগী বানানো।
আল্লাহ তাআলাকে পেতে কোন মাধ্যম লাগে না। আল্লাহকে পেতে হলে আল্লাহকে ডাকতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বান্দা যখন আল্লাহকে পেতে চেষ্টা করে, আল্লাহকে ডাকে, তখন আল্লাহ নিজেই এসে বান্দার কাছে ধরা দেন। আল্লাহ বান্দার চেষ্টা ও তাঁর ডাক পছন্দ করেন। তাই যে ব্যক্তি আল্লাহকে ডাকবে, সে অবশ্যই একদিন আল্লাহকে পেয়ে যাবে।
সারাক্ষণ আল্লাহ ও তাঁর নামের জিকিরে সময় কাটনোর কথা উল্লেখ করে শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ ‘আল্লাহ ও তাঁর নামের জিকির’। আল্লাহ নামের জিকিরের স্বাদ, আল্লাহ নামের স্বাদ কখনো কমে না, বরং যত বেশি বেশি করবে ততো স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহর নামের জিকিরে কখনো বিরক্তিও আসে না। যে ব্যক্তি যত বেশি জিকির করবে সে আল্লাহর কাছে ততো প্রিয় হতে থাকবে।
ইসলাহী ইজতেমায় এশা নামাজের পর দুরুদ শরীফের আমল পরিচালনা করেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম।
ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের মাঝে আগ্রহীরা মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী রহ.-এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ হাতে বায়আত গ্রহণ করেন। বায়আত শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও দেশ-জাতি, করোনা মহামারি থেকে মুক্তি এবং মুসলিম উম্মাহের জন্য শান্তি কামনা করেন তিনি।