‘মানুষের কামিয়াবী রাসূলের জাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত’

‘মানুষের কামিয়াবী রাসূলের জাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত’

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মানুষের কামিয়াবী, শান্তি, সফলতা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের জাতের সাথে সম্পৃক্ত মন্তব্য করে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, শাইখুল হাদীস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি শান্তি পেতে চায়, কামিয়াবী অর্জন করতে চায়, জীবনে সফল হতে চায়, জান্নাতে যেতে চায়, তাহলে তাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শে আদর্শবান হতে হবে। কামিয়াবী, শান্তি, সফলতা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের জাতের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, শান্তি চাও অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ মানবে না, তাহলে শান্তি আসবে না।

মানুষের শরীরের অঙ্গের শান্তি আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের অঙ্গের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন উল্লেখ করে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, যদি তুমি চোখের শান্তি পেতে চাও তাহলে দেখো রাসূল তাঁর চোখ কোন কাজে ব্যবহার করেছেন। যদি হাতের-পায়ের শান্তি পেতে চাও তাহলে দেখো রাসূল তাঁর হাত-পা কোন কাজে ব্যবহার করেছেন। যদি তুমি হৃদয়ে শান্তি পেতে চাও তাহলে দেখ রাসূল তাঁর হৃদয় কোন কাজে ব্যবহার করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম যে সব কাজে তাঁর শরীর ব্যবহার করেছেন তুমিও সে সব কাজে তোমার শরীর ব্যবহার করলে তোমার শান্তি আসবে।

৯ নভেম্বর শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও ইকরা বাংলাদেশ জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে জুমার বয়ানে আওলাদে রাসূল সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী রহ.-এর খলীফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ এসব কথা বলেন।

আল্লামা মাসঊদ বলেন, খুলাফায়ে রাশেদীনদের খেলাফতের পর উমাইয়াদের শাসন আমলে উমাইয়ারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের বাইরে গিয়ে শাসন শুরু করলো, এতে করে সমাজে অশান্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু হযরত ওমর বিন আব্দুল আজীজ রহ. তাঁর খিলাফত আবার হযরত আবু বকর রা. ও হযরত ওমর রা. খেলাফতের মত খেলাফত চালাতে শুরু করলেন। রাসূলের আদর্শে, রাসূলের নিয়মনিতীর উপর ভিত্তি করে শাসন শুরু করলেন, ফলে সামাজে আবার শান্তি ফিরে এলো। সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পেতে লাগলো। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এত উন্নতি হলো যে, গ্রামের পর গ্রাম হাঁটার পরেও যাকাত দেয়ার মত কোন লোক পাওয়া যেত না। তাই রাসূলের আদর্শে আদর্শবান হলে, হযরত আবু বকর রা. ও হযরত ওমর রা. খেলাফতের মত রাষ্ট্র পরিচালনা করলে, সামাজে সুখ-শান্তি অব্যশই আসবে।

ইহুদী-খৃষ্টানরা মুসলমানদের শত্রু বন্ধু নয় দাবী করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, ইহুদী-খৃষ্টানরা মুসলমানদের সুস্পষ্ট শত্রু। তাদের কালচার অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি আসবে না, অশান্তি সৃষ্টি হবে বেশি। আর ইহুদী-খৃস্টানরা মুসলমানদেরকে সবসময় শুধু ধোঁকাই দিয়েছে, মুসলমানদের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করছে। তাদের কালচার বাদ দিয়ে ইসলাম, রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের কালচার গ্রহণ করলে সমাজে শান্তি আসতে বাধ্য হবে।

গ্রন্থনা : আদিল মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *