মাসউদুল কাদির— এর তিনটি ছড়া

মাসউদুল কাদির— এর তিনটি ছড়া

মাসউদুল কাদির— এর তিনটি ছড়া

 

খোয়াই

মধ্যরাতে খোয়াইপাড়ে

ছলাৎ ছলাৎ জল

চাঁদের আলোয় ঝিকিমিকি

তারা অবিকল।

 

চাঁদের নিচে খোয়াই নদীটা

দেখতে কেমন জানো

ডাবের মতো গোলাকারের

একটা আলো মানো।

 

খোয়াই নদীটা হতে পারে

নীলনদী বা ফুরাত

দূরের দেশের পথিক এসে

কাটিয়ে যাবে দু’রাত।

 

সিন্ধুনদের তৃপ্তি যদি

হবিগঞ্জে থাকে

ইবন বতু এ শহরে

আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে।

 

মেঘনা গিয়ে মিশে খোয়াই

জানার আছে তা

আঠারমুড়া উৎসটা তার

সর্পিলাকার গা।

 

জেলে কৃষক মাঝির নদী

নয় সে গলার ফাঁস

সাতান্ন মাইল লম্বা খোয়াই

দুই দেশে তার বাস।

 

এই নদীটা হবিগঞ্জে

জ্বালতে পারে লাইট

নদী দিয়েই গড়তে স্বদেশ

এসো করি ফাইট।

 

শাদা টুপি

দেখি নাকো শবে বরাত

এবং শবে কদর।

বাড়লো কেন এই সময়ে

শাদা টুপির কদর?

 

টুপির মতো ‍হৃদয় যদি

থাকে শাদা শাদা

সবসময়ে পরলে টুপি

লাগবে না আর ধাঁধাঁ।

 

ক্রিকেটারও পরে টুপি

আর্মি পুলিশ তাই

‘কিছু’ মানুষ নেয় না সেসব

পরে শাদা-টাই।

 

হৃদয় যদি না হয় শাদা

এই জীবনই মিছে

শাদা টুপি লাভ দেবে না

বাঁচবো বলো কীসে?

 

ভোরের ছড়া  

ভোরের শিশির পায়ে পায়ে

নূপুর রঙে রাঙা

সূয্যিমামা রঙ ছড়িয়ে

মন করে যায় চাঙা।

 

ভোরের পাখির কিচির মিচির

ভাঙে খুকুর ঘুম

ফোকলা হাসির আলতু গালে

মাম্মি করে চুম।

 

ভোরের পাখি ডাক দিয়ে যায়

মধুর সুরে সুরে

মিষ্টিমধুর আসছে আজান

রাঙা মিনার ফুঁড়ে।

 

ঘুমকাতুরে এই শিশুটাই

বসে যখন পাঠে

বিশ্ব তখন যায় এগিয়ে

আলোর মাঠে মাঠে।

 

ভোরের আলোয় ঘুমোয় যারা

পেঁচার মতো স্বভাব

দুঃখ তাদের খাচ্ছে গিলে

নেই আর কোনো জবাব।

 

উৎসর্জন : যুলফা যুমানা আরওয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *