২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি

মুফতি শহীদুল ইসলামের ইন্তেকালে আল্লামা মাসঊদের শোক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আল মারকাজুল ইসলামীর (এএমআই) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহীদুল ইসলামের ইন্তেকালে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মুফতি শহীদুল ইসলাম একজন মানবকল্যাণকামী জনদরদী আলেম ছিলেন। তিনি বহুমুখী সেবাসংস্থা আল মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠাতা করে দেশব্যাপি জনসেবামূলক কাজ করেছেন। আলেম-আওয়াম, শত্রু–মিত্র নির্বিশেষে সকলের প্রতি ছিল তাঁর সৌহার্দ্যমূলক আচরণ। মানবসেবায় সর্বদা তিনি উন্মুখ হয়ে থাকতেন, আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন মুফতি শহীদুল ইসলাম।

“মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং মাগফিরাতের সাথে জান্নাতে সুউচ্চ মাকাম দান করুন।”

শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা তাঁর সন্তান-সন্তুতি, পরিবারবর্গকে কবুল করুন। তাঁর পরিবার, ছাত্র-শাগরেদ, ভক্ত-অনুরক্তদের শোক সইবার ও ধৈর্যধারণের তাওফিক দান করুন।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারের অংশীদার জামায়াতে ইসলামীর ষড়যন্ত্রে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ কারান্তরীণ থাকাকালে তৎকালীন সংসদ সদস্য মুফতি শহীদুল ইসলাম তাঁর পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন আল্লামা মাসঊদ।

প্রসঙ্গত, রোববার দিবারাত সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা আবু হুরায়রায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, প্রেসারসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

১৯৮৮ সালে মুফতি শহীদুল ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মারকাজুল ইসলামী ঢাকাসহ দেশের আনাচে কানাচে পর্যন্ত প্রায় সব রকমের মানবসেবামূলক কাজ করে আসছে। হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সার্ভিস থেকে শুরু করে বহু ক্ষেত্রে মানবসেবামূলক অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশেষত করোনা দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণসহ করোনা আক্রান্তদের লাশ দাফন করে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে এর অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবক টিম।

মুফতি শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত ছিলেন। তবে কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।

মুফতি শহীদুল ইসলাম ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তার পিতা শামসুল হক সরদার। তিনি পাকিস্তানের করাচী নিউটাউন মাদরাসা থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) ডিগ্রি অর্জনের পর ‘মুফতি’ (ইসলামি আইনশাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ) ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এ দলের চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিমে শূরার সদস্য ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে মুফতি শহীদুল ইসলাম বিজয়ী হন।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২২ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com